খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার জন্য দায়ী করছেন পাইকারদের। আর ভোক্তাদের মতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকাই হচ্ছে এ সমস্যার মূল।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতাসহ বিভিন্ন মসলার দাম গত মাসের তুলনায় ৫ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত মাসের তুলনায় দারুচিনির দাম শুক্রবার বেড়েছে কেজিতে ১৬০ টাকা। এলাচ আরও ব্যয়বহুল এবং ঢাকার কিছু বাজারে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১১ শ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক চন্ডী দাস কুন্ডু বলেন, দেশে যে মসলা হয় তা চাহিদার তুলানায় অপর্যাপ্ত। আর বেশিরভাগ মসলা যা দেশে হয় না তা আমদানি করতে হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন মসলা উৎপন্ন হয়েছে। সেই সাথে আমদানি করা হয়েছে ১৩ লাখ ১২ হাজার ১৪৪ মেট্রিক টন।
সংস্থার পরিচালক মো. আজহার আলীর দাবি, সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘মসলার পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ বছরের চাহিদা পূরণে আমরা বিপুল পরিমাণে আমদানি করেছি।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান বলেন, ঈদের সময় এ দাম বাড়ানো হলো ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করার এক কৌশল। তবে কিছু ব্যবসায়ী এ কথার সাথে একমত নন।
‘পাইকাররা বেশি দামে মসলা বিক্রি করছেন। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হচ্ছে,’ বলেন কাওরান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আবদুল হালিম। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের সময় সব মসলার দাম বেশি ছিল এবং তা আর কমেনি।
রাজধানীর বংশাল, নয়াবাজার, গুলিস্তান ও শান্তিনগরের বিভিন্ন বাজারে বেশি দামে মসলা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বংশালের বাসিন্দা হালিমা খাতুন বলেন, ঈদের আগে মসলার দাম বৃদ্ধি নতুন কিছু নয়, তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা চরম। ‘আমি এলাচ কিনেছি সাড়ে তিন হাজার টাকা কেজিতে!’
‘যথাযথ নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ঈদের আগে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তা হিসেবে আমরা কী করতে পারি? আমাদের বেশি দামে কেনা ছাড়া কোনো উপায় নেই,’ যোগ করেন তিনি।